views

পেপাল নিয়ে সুখবর দিলেন বাংলাদেশ ঢাকা, ৫ মে ২০২৫:
বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিং খাতের জন্য এক যুগান্তকারী সুখবর নিয়ে এলো সরকার—দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেনের অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম পেপাল (PayPal) বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালুর অনুমতি পেয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী আজ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সার ও অনলাইন উদ্যোক্তাদের বহুদিনের দাবি ছিল পেপাল সার্ভিস চালু করা। আমরা তাদের সেই চাহিদার গুরুত্ব অনুধাবন করেছি এবং নানা আলোচনার পর আজ এই সাফল্য এসেছে। এটি দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে নতুন গতি যোগ করবে।”
কী থাকবে পেপাল সেবায়?
প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশি ব্যবহারকারীরা পেপালের মাধ্যমে বিদেশ থেকে অর্থ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে ভবিষ্যতে অর্থ পাঠানোর (Send Money) সুবিধাও চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
পেপাল সার্ভিসের আওতায় থাকছে:
-
নিরাপদ ও দ্রুত বিদেশি পেমেন্ট গ্রহণ
-
ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মের সাথে সরাসরি লেনদেনের সুবিধা
-
রেমিট্যান্স প্রবাহ সহজতর করা
-
স্থানীয় ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্তি সুবিধা
কারা সবচেয়ে উপকৃত হবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ উদ্যোগ সবচেয়ে বেশি উপকারে আসবে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার, ছোট উদ্যোক্তা, ই-কমার্স ব্যবসায়ী এবং ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাতাদের। বর্তমানে যারা বিকল্প পথ বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পেমেন্ট নিচ্ছেন, তারা এখন সরাসরি ও নিরাপদভাবে পেপালের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন।
আরও কী জানানো হয়েছে?
পেপালের সেবা দিতে একটি নির্দিষ্ট ব্যাংককে প্রযুক্তিগত অংশীদার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে, যাদের মাধ্যমে পেমেন্ট প্রসেসিং হবে। আইসিটি বিভাগ জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও নেওয়া হবে, যাতে সবাই এই সুবিধা সহজে ব্যবহার করতে পারে।
উপসংহার:
পেপালের মতো একটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ের পূর্ণাঙ্গ আগমন বাংলাদেশের ডিজিটাল খাতে একটি বড় অর্জন। এতে ফ্রিল্যান্স আয়ের বৈধতা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।